স্থান- আপফান ঝড়ে বিধ্বস্ত সুন্দরবন।
ওই গত দুদিনে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। কিন্তু আজ এসে এখন ফ্রী হলাম সব আপডেট দেওয়ার জন্য। লাইট হাউসের সব বাতিরা মিলে খুব ইমার্জেন্সি ভাবে এই ডিসিশন নেওয়া হয়েছিল। সেইমত প্ল্যান করে খুব তাড়াতাড়ি করে ওষুধের লিষ্ট বানানো, আমাদের টিমে ডঃ অয়ন আর ফার্মাসিস্ট কিংশুক দার সঙ্গে কনসাল্ট। বাতিদের এরপর ওষুধ কেনা ও সর্টিং করে পরদিন ভোর ভোর রওনা হয়ে যাওয়া হয় সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে।
গোসাবা ও কুমীরমারী দ্বীপ ঃ- ৩০ তারিখ প্রথমেই কুমীরমারী দ্বীপের রাখালমাঝি ঘাট যাওয়া হয়। প্রায় ২০০ জনের উপর গ্রামবাসীকে আমরা এখানে দেখেছি। এর মধ্যে জলঘটিত পেটের রোগ বা চর্মরোগ ছাড়াও প্রচুর ক্রনিক সমস্যাজনিত মানুষকে দেখে ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর ওইদিনই দুপুরের পর লঞ্চে যাওয়া হয় দ্বীপের বাগনা ঘাটে। প্রথমে একটি মাঠে ক্যাম্প শুরু করা হয়। কিন্তু একটু পড়েই আকাশ কালো করে প্রচুর ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে একটি পাকা ক্লাব ঘরে ঢুকে সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। এখানেও ১৫০ এর উপর গ্রামবাসীকে আমরা দেখি। এইদিন দুটি দ্বীপ মিলে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা প্রায় ৩৮৯ জন গ্রামবাসীকে আমরা দেখেছি ও ওষুধ দিয়েছি। ৩১ তারিখ আমরা আসি কালিদাসপুর গ্রামের পিচিং ঘাটে। ওষুধ যতক্ষণ অব্দি শেষ না হয়ে আসে ততক্ষণ অব্দি ক্যাম্প চলতে থাকে। এদিনও দুপুর পর্যন্ত ১৫০ এর উপর গ্রামবাসীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুইদিনে তিনটি দ্বীপে মোট ৫৪৫ জন গ্রামবাসীকে আমরা পরিষেবা পৌঁছে দিতে পেরেছি। এছাড়াও লাইট হাউসের অন্যান্য বাতিরা ক্যাম্পের বাইরেও গ্রাম পরিদর্শন করে মোট ১২ টি ছোট বড় পুকুর পাম্প দিয়ে সেচে নোনাজল বার করার খরচ আর ব্যবস্থা করে ফেলেছে। যারা এই পরিষেবা পৌছে দেবার জন্য আমাদের পাশে থেকে সবসময় সাহায্য করে চলেছেন তাদের অক্ষয় ভান্ডার থেকে বা শ্রম দিয়ে আমি তাদের কুর্নিশ জানাই। আপনাদের জন্য আমরা আবারও পারবো।
LIGHT HOUSE -Think different
আমাদের কাজ সম্পর্কে আরও জানতে সঙ্গে থাকুন।