top of page

পুরুলিয়ার সবর আদিবাসীদের সঙ্গে.........।

বাংলার সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম হল পুরুলিয়া। আদিবাসী অধ্যুষিত এই জেলাতে একদিকে যেমন জলের সমস্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের মতো এই অঞ্চল তেমন সুজলাং সুফলাং নয়। তেমনি কলকাতার থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হওয়ার জন্য এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নতিও খুবই কম হয়েছে। এই অঞ্চলে বসবাসকারী লোকেদের মধ্যে সামগ্রিক ভাবে আদি উপজাতির মানুষেরা আরো পিছিয়ে। এখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সাঁওতাল,ভুনজি, মুন্ডা, বিরহ ইত্যাদির সাথে অন্যতম প্রধান উপজাতি হল শবড় সম্প্রদায়ের লোকেরা। সাধারণত জনালয়ের থেকে দূরে ৮-১০ টা ঘর নিয়ে তৈরি হয় এদের গ্রাম। 2017 সাল থেকে পুরুলিয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত জাদুগড়া, পুনচা ইত্যাদি অঞ্চলের প্রায় ২০ টি গ্রামে আমরা প্রতিবছর ছুটে যাই। এখানের অধিকাংশ গ্রামই এখনো বিদ্যুৎ বা পাকা রাস্তাঘাট সমেত অন্যান্য সাধারণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এখানে শিক্ষার হার, জীবিকার হার একদম তলানির দিকে। পানীয় জলের চূড়ান্ত অভাব- গ্রীষ্মকালে একমাত্র কুয়োর জল শুকিয়ে যাওয়ায় বালি খুঁড়ে জল সংগ্ৰহ করতে হয়। 

কখনো স্থানীয় স্কুলে খেলার সামগ্রী বা বই-খাতা নিয়ে আবার কখনো শীত বস্ত্র, পুজোর নতুন জামা কাপড় ইত্যাদি সামগ্রী নিয়ে আমরা নিয়ম করে বছরের বিভিন্ন সময়ে হাজির হই পুরুলিয়ার এই প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোতে। ওখানে আমরা যেমন গ্রামের কচিকাঁচাদের সাথে সময় কাটাই তেমনি ওই অঞ্চলের সামগ্রিক জীবনযাত্রাতেও কিছু ভালো প্রভাব ফেলার চেষ্টা করি। লাইট হাউসের উদ্যোগে সরকারি প্রকল্পের সাহায্যে ওখানকার কুলবাহার গ্রামে একটি সুগভীর নলকূপ বসানো হয়েছে যেটা এখন ওখানের জনগণের কাছে লাইফলাইন। এছাড়াও লাইট হাউসের উদ্যোগে ওখানের গজাবুরু অঞ্চলে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পেরও আয়োজন করা হয়েছে ।

bottom of page